The Fact About bdjobs That No One Is Suggesting
Wiki Article
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাকে অভিশংসিত হতে হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘নেতিবাচক কোনও বিষয়’ খুঁজে বের করার জন্য বিদেশি সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদে তাকে অভিশংসিত করা হলেও রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সেনেটে তিনি খালাস পান।
ট্রাম্পকে। যদিও এইবারও তাকে বেকসুর খালাস করে সেনেট।
ছবির ক্যাপশান, নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে নিজ অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞার জন্য পিটিশন
ছবির ক্যাপশান, নিজের বিলাসবহুল ভবনে দাঁড়িয়ে মি. ট্রাম্প।
বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী?
ছবির ক্যাপশান, বিতর্ক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নেমে যাচ্ছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং মঞ্চে দাঁড়িয়ে মি. ট্রাম্প।
নভেম্বর ২০২০-এর নির্বাচনে বাইডেন বিজয়ী হন, ট্রাম্পের ৭৪.২ মিলিয়ন ভোট (৪৬.৮%) এর বিপরীতে তিনি ৮১.৩ মিলিয়ন ভোট (৫১.৩%) পান[২৩৩][২৩৪] এবং ইলেক্টোরাল ভোটে বাইডেন ৩০৬ বনাম ট্রাম্পের ২৩২ ভোট লাভ করেন।[২৩৫] ইলেক্টোরাল কলেজ ১৪ ডিসেম্বর বাইডেনের জয় দাপ্তরিকভাবে অনুমোদন করে।[২৩৫] নির্বাচনের পরদিন সকালে ফলাফল জানার আগেই ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।[২৩৬] কয়েক দিন পর বাইডেনের জয় নিশ্চিত হলে ট্রাম্প প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন।[২৩৭] নির্বাচনী ফল উল্টানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ট্রাম্প ও তার মিত্ররা ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে অসংখ্য মামলা দায়ের করেন, যেগুলো যুক্তি ও আইনি ভিত্তির অভাবে রাজ্য ও ফেডারেল কোর্টের কমপক্ষে ৮৬ জন বিচারক খারিজ করেন।[২৩৮][২৩৯]
২০২০ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই বছর করোনাভাইরাস মহামারির আধিক্য দেখা যায়। ওই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মি. ট্রাম্পকে।
ছবির ক্যাপশান, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাতে নিউ ইয়র্কে জন সাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিচ্ছেন মি. ট্রাম্প।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে যে 'লাখ লাখ অপরাধী' অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন।
৬% কম ছিল।[১৩৩] ট্রাম্পের আমলে ফেডারেল বাজেট ঘাটতি প্রায় ৫০% বেড়ে ২০১৯ সালে $১ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছায়।[১৩৪] তার মেয়াদ শেষে মার্কিন জাতীয় ঋণ ৩৯% বেড়ে $২৭.৭৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছায় এবং ঋণ-থেকে-জিডিপি অনুপাত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়।[১৩৫] ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী $১ ট্রিলিয়ন মূল্যের অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন।[১৩৬]
ট্রাম্প একমাত্র আধুনিক মার্কিন রাষ্ট্রপতি যিনি দায়িত্ব ছাড়ার সময় কর্মশক্তিকে ৩ মিলিয়ন লোক কমিয়ে দিয়েছিলেন।[১২৯][১৩৭] তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ঐকমত্য প্রত্যাখ্যান করেন।[১৩৮][১৩৯][১৪০][১৪১] তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণার বাজেট ৪০% কমিয়ে দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ওবামা-যুগের নীতিগুলো বাতিল করেন।[১৪২] তিনি প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ হিসেবে এটি অনুমোদন করেনি।[১৪৩] তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।[১৪৪][১৪৫] তার আমলে প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্প্রসারণ ঘটলেও কয়লার ব্যবহার হ্রাস অব্যাহত থাকে।[১৪৬][১৪৭] তিনি ১০০টিরও বেশি ফেডারেল পরিবেশগত নিয়ম বাতিল করেন, যার মধ্যে রয়েছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ, বায়ু ও জলদূষণ রোধ, এবং বিষাক্ত পদার্থের ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। তিনি প্রাণী সুরক্ষা ও ফেডারেল অবকাঠামো প্রকল্পের পরিবেশগত মান দুর্বল করেন, পাশাপাশি ড্রিলিং ও সম্পদ উত্তোলনের জন্য অনুমোদিত অঞ্চল সম্প্রসারিত করেন, যেমন আর্কটিক অভয়ারণ্যে ড্রিলিংয়ের অনুমতি প্রদান।[১৪৮]
https://dailysabasbd.com/